মোখলেছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নকে একটি অত্যাধুনিক ও শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে রুপান্তর করার জন্য এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াপ্রেমী সাজ্জাতুল ইসলাম লিটন।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে তিনি এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পাওয়ার প্রত্যাশা রাখেন।
তিনি মাওহা ইউনিয়নের সিংচাপুর গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃরফিকুল ইসলাম (রাশিদ মাস্টার) ও গৃহিণী আছিয়া খাতুন দম্পতির পুত্র।
তার সাথে কথা বলে জানা যায়, স্কুলজীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০০২ সালে স্থানীয় নহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে গৌরীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের স্নেহাস্পদ হিসেবে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।গৌরীপুরের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট নাজিম উদ্দিন আহমেদেরও একজন আস্থাশীল ব্যক্তি হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। তার নির্দেশনানুযায়ী বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।
সাজ্জাতুল ইসলাম লিটনের শিক্ষা জীবন অত্যন্ত কৃতিত্বপূর্ণ। তিনি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (পুরুষ) থেকে প্রথম শ্রেণিতে বিএড ও এমএড ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে জয় লাভ করে সনদ অর্জন করেন। জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠানে ধারাভাষ্যকার হিসেবেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন তরুণ এ নেতা।
পেশাগত জীবনে তিনি ময়মনসিংহ সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং ময়মনসিংহ প্রেসিডেন্সি মডেল স্কুলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ কমার্স কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করে একেবারে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের সকল নেতৃবৃন্দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের জয়লাভে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে সুস্থ ধারার রাজনীতি করে আসছেন।
তিনি ময়মনসিংহ জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের একজন সক্রিয় সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন জেলা শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক, মানবাধিকার জোট ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন কমিটির সদস্য এবং গৌরীপুর উপজেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচীব।
করোনা ভাইরাস আক্রমণের প্রাক্কালে এলাকার জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সচেতনতামূলক হ্যান্ডবিল, প্রত্যেক মসজিদে সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সরবরাহ করেন। কর্মহীন জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যক্তিগত খরচে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং প্রতি শীত মৌসুমে দারিদ্রের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে ইতোমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
তার নানার নামে একটি সামাজিক উন্নয়নমুলক সংগঠন ′′মরহুম আইয়ুব আলী ফকির স্মৃতি পরিষদ” প্রতিষ্ঠা করে এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও এলাকায় বাল্যবিবাহ, মাদক, জুয়া ও বিভিন্ন ধরণের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছেন। এ লক্ষ্যে স্থানীয় যুবসমাজের মধ্যমনি হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি বলেন, ′′আমি যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার আশীর্বাদ পাই তাহলে নির্বাচনে অবশ্যই জয় লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।”